তৃণমূলের পরিবারটাই দল, আর বিজেপির দলই পরিবারঃ নাড্ডা
রাজ্যে ১৩০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমি নিজে ১০০ জনের তর্পণ করেছি। এটা কোন বাংলা? বুধবার হেস্টিংসে অগ্রবাল ভবনে স্থিত দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে গঠিত নতুন নির্বাচনী দফতরের উদ্বোধন করেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, মমতার আর এক নাম অসহিষ্ণুতা। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে। বুধবার কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় বিজেপি ৯টি নির্বাচনী কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন নাড্ডা। এ দিন তিনি জানান, আগামী দিনে মোট ৩৮টি কার্যালয় তৈরি হবে। ই-লাইব্রেরি থাকবে প্রতি কার্যালয়ে। কনফারেন্স হল থাকবে। বড় সভা করার জায়গা থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পার্টি অফিস আর কার্যালয়ে অনেক তফাৎ। বিজেপি কার্যলয়ে বিশ্বাস করে। কার্যালয় আসলে সংস্কারের কেন্দ্র। আরও পড়ুন ঃ শ্বাসকষ্টের সমস্যার জের, হাসপাতালে ভরতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তিনি বলেন, তৃণমূলের কাছে পরিবারটাই দল আর বিজেপির কাছে দলই পরিবার। তাই নেতার বাড়ি থেকে নয়, কার্যালয় থেকে দল চালায় বিজেপি। এছাড়াও তাঁর বক্তব্য, লকডাউনে বিজেপি কর্মীরা ভাল কাজ করেছেন। রেশন বন্টন করেছেন বিজেপি কর্মীরা। আর সেই কর্মীদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল। সবশেষে নাড্ডা আশ্বাস দেন, বাংলার সংস্কৃতিকে রক্ষা করার। পাশাপাশি এদিনও নাড্ডা দাবি করেছেন বাংলায় ২১-এর বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে জিতবে বিজেপি। সোনার বাংলাকে দুর্নীতি, ভাই-ভাতিজার রাজনীতি গ্রাস করেছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। সরব হন তৃণমূলের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিপক্ষেও। রাজ্য সরকারকে কড়া সমালোচনা করে নাড্ডা বলেন, বাংলায় ১৩০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। যখনতখন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এদিন বেলা ১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা হেস্টিংসে চলে আসেন জেপি নাড্ডা। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই জেপি নাড্ডাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বেশকিছু মানুষ।